কাশ্মিরে ভারত-পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর চৌকিতে বোমা হামলার করা হয়েছে বলে ভারতের সেনাবাহিনী বলছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র অশোক নারুলা সোমবার জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় জঙ্গিরা যাতে ভারত-শাসিত কাশ্মীরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ কাশ্মিরের স্থানীয় তরুণদের অস্ত্র হাতে তুলে নিতে নিরুৎসাহিত করবে। এতে করে তাদের সংখ্যা কমবে বলে মনে করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
কিন্তু পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ভারতীয় হামলার কথা অস্বীকার করছে। তাদের কোন সেনা চৌকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি বলে জানাচ্ছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে ভারতের সেনাবাহিনী কবে হামলা চালিয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোন দিন তারিখ উল্লেখ করছেন না কর্মকর্তারা। তারা শুধু বলছেন ‘খুব সম্প্রতি’ এ হামলা চালানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে নওশেরা সেক্টরে পাকিস্তানের এক সেনা চৌকি ধ্বংসের চিত্র দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু সে ভিডিওটি নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে ভারতীয়দের এ দাবী উড়িয়ে দিচ্ছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ ঘফুর বলেন, “নিয়ন্ত্রণ রেখার পাশে নওশেরা সেক্টরে পাকিস্তানের সেনা চৌকি ধ্বংস করার যে দাবী ভারত করছে সেটি মিথ্যা।”
সম্প্রতি কাশ্মিরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক যখন অবনতি হয়েছে তখন পাকিস্তানের সেনা চৌকিতে হামলার কথা বলছে ভারত।
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত কয়েক মাস ধরেই সহিংসতা বেড়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সহিংসতা ‘উস্কে দেবার’ জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। যদিও পাকিস্তান বরাবরই এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করছে।
গত এপ্রিল মাসে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের ফারুক আহমেদ ডার নামের এক যুবককে জীপ গাড়ির সামনে বেঁধে সারাদিন রাস্তায় ঘুরিয়েছিলেন সেনা কর্মকর্তা মেজর গগই।
সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছিল, ভোটের দিন স্থানীয় যুবকরা যাতে সেনা জিপের দিকে পাথর ছুঁড়তে না পারে, সেজন্যই মি. ডারকে জিপের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
কয়েকদিন আগে সে সেনা কর্মকর্তাকে একটি প্রশংসাপত্র দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত।
সংবাদসংস্থা পি টি আই বলছে, ওই সেনা অফিসারকে ‘কাউন্টার-ইন্সারজেন্সি’ অপারেশনগুলিতে তাঁর ধারাবাহিক অবদানের জন্যই ওই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সূত্র, বিবিসি বাংলা